The only son of the parents was leaving his elderly father in the old age
home for the first time and returning in a car. His mother may have had to
accept the same fate, but he has already moved on.
Anyway after going some distance
suddenly his wife called and said, you go back to the old age home again. I
forgot to tell you one thing. When you go to the old age home, you will again
explain to your father well - no festival is far away, even on your birthday,
your father should stay in that old age home. By no means do I want to convey
that I recommend for the mother to be inactive.
What else will the boy do?
Silently as his wife had said, he went to the old age home again. When he got
there, he saw a strange sight. He saw his father smiling and talking to the old
owner of the old age home with great sincerity.
Doubt arose in the boy's mind and
he wondered if the father already knew the old owner of the old age home. Who
knows, maybe that will be the case. The boy then waited for the old man of the
old age home to know the answer to the question that was swirling in his head.
After a while, as soon as his father left the room, the boy asked the old owner
of the old age home,
Boy: - Sir, I'm asking you a question, don't mind. By the way, the way
you talked to my father a while ago, I know why you seem to know the former. Is
that true? Is my idea right or wrong?
Then the old owner of the old age home said: - Yes, I have known him very well since about 40 years ago. I don't know under what circumstances he came to this old age home today. However, all I can say is that your father is a man with a big mind.
The boy said: - I want to know that from you.
The old owner said: - Forty years ago today, he took an orphaned child
home from an orphanage in my charge. If my guess is not wrong, then the
orphaned child who was adopted forty years ago is now standing in front of me.
Hearing the man's words, the boy ran to his father's room, grabbed his
leg, apologized and took him back home from the old age home. After going home
and telling his wife everything, he also apologized to his father-in-law for
what he had done.
Our parents silently endure many hardships given to us but in spite of
all this they never wish for the misfortune of the child. May every child be
soaked in care and love, may all the parents of the world be well.
বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে তার বৃদ্ধ বাবাকে প্রথমবারের মতো বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গাড়িতে করে ফিরছিল। তার মায়েরও হয়তো এই ভাগ্যই বরণ করতে হতো কিন্তু এর আগেই তিনি পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন।
যাই হোক কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ তার স্ত্রী ফোন করলো এবং বললো, তুমি আরেকবার বৃদ্ধাশ্রমে ফিরে যাও। তোমাকে একটা কথা বলতে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে তুমি আবারও তোমার বাবাকে ভালভাবে বুঝিয়ে বলবে - কোন উৎসব তো দূরের কথা এমনকি তোমার জন্মদিনেও তোমার বাবা যেন কষ্ট করে ওই বৃদ্ধাশ্রমেই থাকেন। কোনভাবেই কিংবা কোন অজুহাতে উনি যেন আমাদের বাড়িতে আর না আসেন।
ছেলে আর কি করবে ? বউয়ের কথা মতো চুপচাপ সে আবারও সেই বৃদ্ধাশ্রমে গেলো। সেখানে গিয়ে সে একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেলো। দেখলো তার বাবা ওই বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মালিকের সাথে হেসে হেসে অতি আন্তরিকতার সাথে কথা বলছে।
ছেলের মনে সন্দেহ জাগলো এবং সে মনে মনে ভাবলো বাবা কি তাহলে আগে থেকেই বৃদ্ধাশ্রমের এই বৃদ্ধ মালিককে চিনতেন ? কে জানে হয়তো সেটাই হবে। তারপর ছেলেটি বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ লোকটির কাছে তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকা প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে লাগলো, কিছুক্ষণ পর তার বাবা নির্দিষ্ট কামরায় চলে যাওয়া মাত্রই ছেলে ওই বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মালিককে জিজ্ঞাসা করলো,
ছেলে:- স্যার, আপনার কাছে একটা কথা জিজ্ঞাসা করছি, কিছু মনে করবেন না। বলছি যে, একটু আগে আপনি যেভাবে আমার বাবার সাথে কথা বলছিলেন, তাতে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনারা পূর্ব পরিচিত। সত্যি কি তাই ? আমার ধারনা কি সঠিক না ভুল ?
তখন বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মালিক বললেন :- হ্যা, উনাকে আমি প্রায় ৪০ বছর আগে থেকে খুব ভালভাবে চিনি এবং জানি। আমি জানিনা কোন পরিস্থিতিতে তিনি আজকে এই বৃদ্ধাশ্রমে এসেছেন। তবে, এটুকুই বলতে পারি মনের দিক থেকে আপনার বাবা বেশ বড় মনের একজন মানুষ।
ছেলে বললো :- আমিতো আপনার কাছে সেটাই জানতে চাইছি।
বৃদ্ধ মালিক জানালেন :- আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে আমার দায়িত্বে থাকা একটি অনাথ আশ্রম থেকে উনি একটি অনাথ শিশুকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার অনুমান যদি ভুল না হয় তাহলে চল্লিশ বছর আগে দত্তক নেওয়া সেই অনাথ শিশুটাই এখন আমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।
লোকটির কথা শুনে ছেলেটি দৌড়ে তার বাবার কামরায় গিয়ে তার পা ধরে ক্ষমা চাইলো এবং বৃদ্ধাশ্রম থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো। বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে সবকিছু খুলে বলার পর সেও তার কৃতকর্মের জন্য শ্বশুরের কাছে ক্ষমা চাইলো।
আমাদের বাবা-মা আমাদের দেওয়া অনেক কষ্টই নীরবে সহ্য করে যান কিন্তু এত কিছুর পরও তারা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল কামনা করে না। প্রতিটি সন্তানের যত্ন ও ভালোবাসায় সিক্ত থাকুক, ভাল থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা-মা।
No comments:
Post a Comment